(প্রযুক্তি প্রতিদিন) বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়র্ড ২০১৩ বিজয়ী এমরাজিনা ইসলাম মনে করেন একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারে এক একটি প্রতিষ্ঠান। পুরষ্কার পাওয়ার পর এমরাজিনা জানিয়েছেন, আমি শুধু নিজের জন্য না সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করতে চাই নারীদের নিয়ে।
কাজের শুরু
এমরাজিনা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ শুরু করেন ২০১১ সালে। বর্তমানে ওডেস্কে ও ইল্যান্সে কাজ করছেন। ছোট বেলা থেকেই আঁকা আকির প্রতি ঝোক ছিলো। এ জন্যই ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স সম্পন্ন করলেও বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে ফাইন আর্টস এর ওপরে ৫ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর শর্ট কোর্সও করেছেন তিনি। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন ডিজাইনার হিসাবে। ব্যানার, কার্ড, স্টিকার, ওয়েব পেজ লে আউট, বিভিন্ন লোগো, ফটো এডিটিংসহ বিভিন্ন কাজ করেন এমরাজিনা।
শুরুতে কাজ করতে পরিবার থেকে তেমন কোন বাধা ছিল না। এমরাজিনা বলেন, আমি অ্যাকাউন্ট খোলার ৩ মাসের মধ্যেই প্রথম কাজ পাই। প্রথম দিকে কাজ গুলো ঘণ্টায় ডলারে করলেও বর্তমানে ২০ ডলারের মতো পারিশ্রমিক নেই আমি। ইংরেজি ভাল জানা থাকলে আর কোন একটি কাজে দক্ষতা থাকলে আউটসোর্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ার কঠিন কিছু নয় বলে মনে করি আমি।
প্রথম দিকে সবাইকে বোঝাতে কষ্ট হয়েছে। সবাই কোন ভাবেই এটাকে কাজ হিসাবে মনে করে নাই। তাদের ধারনা ছিলো এই কাজের কোন ভবিষ্যৎ নেই। তবে আমি প্রথম থেকেই এরকম কিছু মনে করতাম না। আমার স্বামী সাইদুর মামুন খান প্রথম দিকে যেমন সহযোগিতা করতেন আজও তেমনি সহযোগিতা করেন কাজের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ইল্যান্সের বাংলাদেশি কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন সাইদুর মামুন খান। শ্বশুরবাড়ি থেকেও কাজের ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি আমি।
ভবিষৎ পরিকল্পনা
ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে দেখতে চান এমরাজিনা। সেই লক্ষে কাজ করেছেন। ইতিমধ্যে তিন জনকে নিয় ‘এমরাজিনা গ্রাফিক্স’ নামে একটি আউটসোর্সিং এর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে এর সব কার্যক্রম বাসা থেকে পরিচালিত হলেও, খুব তাড়াতাড়ি ধানমন্ডি অফিসে কার্যক্রম শুরু করার ইচ্ছা রয়েছে এমরাজিনার।
এখনতো আমি মনে করি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ফিল্যান্সিং এর কাজের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। আউটসোর্সিং পেশা হিসাবে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় এসসেছে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এ পেশাটি অনেক উপকারি ভূমিকা রাখতে পারে। এই পেশায় বাইরে না গিয়ে ঘরে বসেই কাজ করা যায়। ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের বিভিন্ন দেশের মানুষের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করা যায়। নারীদের একাজে ভালো করার অনেক সুযোগ আছে। তাই নারীদের বেশি এগিয়ে আসা উচিত আউটসোর্সিং পেশায়।