(প্রযুক্তি প্রতিদিন) অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের পরিচিত প্লাস্টিকের তৈরি ডেবিট ক্রেডিট কার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে প্লাস্টিকনির্ভর কার্ডের বদলে মোবাইল ডিভাইসনির্ভর লেনদেনের দিকেই ঝুকছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কার্ডস অ্যান্ডস পেমেন্ট মিডল ইস্ট কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞেরা জানান, ২০১৫ সালের মধ্যেই জেনারেশন ওয়াইয়ের ৭০ শতাংশ গ্রাহক অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংকেই বেশি প্রাধান্য দিবে। ব্যাংকগুলোর উচিত বেশি শাখা না খুলে ডিজিটাল লেনদেন পদ্ধতি বাস্তবায়নে অধিক বিনিয়োগ করা। যদিও বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই স্পর্শহীন লেনদেন সুবিধা পুরোপুরি চালু হয়নি। ২০১৬ সাল নাগাদ অর্ধেকের বেশি গ্রাহক ব্যাংকিংয়ের জন্য মোবাইল পদ্ধতিকেই বেছে নেবে। এ জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন চাহিদা মেটাতে মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফরম গড়ে তুলতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজেদের ব্যয় সম্পর্কে অধিকতর স্বচ্ছ ধারণা রাখতে পারেন। এ কারণে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপও নেয়া সহজ হয়ে যায়। বর্তমানে বিকল্প পদ্ধতিতে লেনদেন করে কফি শপ কিংবা রেস্তোরাঁয়ও ভিড় এড়াতে সক্ষম হচ্ছেন গ্রাহকেরা। এতে এ পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। স্মার্টফোনের এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যান্ডসেটটিকেই কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহকরা। এতে কার্ড বহনের ঝামেলাও কমে গেছে। তবে অ্যানালগ থেকে কার্ডকে শুধু ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তর করলেই হচ্ছে না। গ্রাহকদের চাহিদা অধিক নিরাপদ ও তথ্যসমৃদ্ধ লেনদেন পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এখন পর্যন্ত ডিজিটাল লেনদেনের উপযোগী টার্মিনাল ও রিডারের মতো অবকাঠামোর সঙ্কট রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ পদ্ধতি গ্রহণ ও কার্যকর করা বিশাল একটি পদক্ষেপ। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা, টেলিকম অপারেটর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এক সাথে কাজ করকে হবে। প্রচলিত কার্ডের বিকল্প হবে না এনএফসি। কার্ডের বহুমুখী ব্যবহার নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকে। প্রচলিত বিশ্বাসের কারণে কার্ডের ওপর হাতের ছোঁয়া দিয়ে অনেকেই আশ্বস্ত বোধ করেন। পাঁচ বছর ধরেই এনএফসি প্রযুক্তি চালু আছে। কিন্তু তাতে কার্ডের ব্যবহার একটুও কমেনি। কার্ডে অনেক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এ কারণে বর্তমান প্রজন্মের সময় কার্ড বাতিল হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।