(প্রযুক্তি প্রতিদিন) চট্রগ্রামে অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপি ই-বানিজ্য মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, ই-বাণিজ্য মেলা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে সহায়ক। এই মেলার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা ঘরে বসেই কেনাকাটাসহ যাবতীয় সেবা কিভাবে পাবে সেটি জানতে পারছে। তাই ই-বাণিজ্যকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে দেওয়া হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, প্রসার বাড়াতে সরকার নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। সাধারণের কাছে কম্পিউটার পৌছে দেওয়া, বাংলাতে ই-কনটেন্ট তৈরি করা, ই-বুক প্রকাশসহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার অবশ্যই জানতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় কম্পিউটার না জানলে আগামীতে চাকরি হবে না। কমপিউটার জগৎ এর উদ্যোগে ঢাকা ও সিলেটে ই-বাণিজ্য মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করার পর গত বৃহষ্পতিবার থেকে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’ শ্লোগান নিয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত এ মেলার আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসন। সহযোগিতা করেছে মাসিক ‘কমপিউটার জগৎ’। চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম প্রেসকাবের সভাপতি আলী আব্বাস, এস আলম গ্রুপের এজিএম কামরুল ইসলাম ও চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। পরে চট্রগ্রাম জেলা একাডেমির আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তিনদিনব্যাপি এই মেলায় ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে। মেলায় মোট ৫২টি স্টলে ৫১টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। মেলা উপলক্ষে পণ্য ও সেবা ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুযোগ যেমন ছিল, তেমনি এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরণের আয়োজন ছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পন্য ক্রয়ে ছাড় ও উপহারের ঘোষনা দিয়েছে।