(প্রযুক্তি প্রতিদিন) তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন কতৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশে ইন্টারনেটের দাম কমিয়েছে বলে যেসব বিজ্ঞাপন ও সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে তা দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। সম্প্রতি কয়েকটি টেলিকম আপরেটর পি১ প্যাকেজের দাম কমিয়েছে বলে বিজ্ঞাপন ও সংবাদ প্রচার করে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী জানান, আন্দোলনের মুখে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
প্রকৃতপক্ষে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিন্ম গতি ৫১২ কিলোবাইট ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে চাপের মুখে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুইয়া গত ৫ জুন তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিসের দাম নির্ধারণ কস্ট মডিউল ছাড়া সম্ভব নয়।
একই দাবিতে গত ১২ জুন তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে লাগাতার গণঅবস্থাণ শুরু করলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। ওই বৈঠকেও গোলাম মাওলা ভুইয়া ওই কস্ট মডিউলের অজুহাত দেখান। গোলাম মাওলা ভুইয়া জানান, আইএসপি/ অপারেটরগুলোকে কস্ট মডিউলের জন্য ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে এবং এর পর পরই ঘোষণা করা হবে।
জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কস্ট মডিউল পেলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার ঘোষণার জন্য বিটিআরসির এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। বিটিআরসির কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন না বলে আশা করি।
বর্তমানে গ্রামীণফোনের পি৩ প্যাকেজে ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ৫০.০০ টাকার কম এবং টেলিটক থ্রিজি ডি১২ প্যাকেজে গ্রাহকের ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ২০.০০ টাকার কম।
এছাড়া বর্তমানে আইএসপির জন্য প্রতি ১ সেকেন্ডে ১ এমবিপিএস হারে মাসের ব্যান্ডউইথের মূল্য ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে। বিটিআরসি থেকে ঘোষিত গ্রাহক পর্যায়ের নতুন মূল্যহারে অবশ্যই ওই অনুপাতে নির্ধারণ করতে হবে।