ডিপফেইক শনাক্ত করতে পারবে এআই

ডিপফেইক শনাক্ত করতে পারবে এআই: বিল গেটস

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, মানুষের চাকরি চলে যাওয়ার মতো বড় বড় ঝুঁকির ক্ষেত্রগুলো নিয়ে এক ব্লগপোস্টে নিজের চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন সবই সমাধানযোগ্য।

এর আগে বড় পরিবর্তন আনা উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে এআইকে মিলিয়ে গেটস বলেন, যখন মোটরগাড়ি এল তখন যাত্রীদের সিট বেল্ট বাঁধা, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখা বা বাধ্যতামূলক ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো বিভিন্ন নিরাপত্তা মানদণ্ডও তৈরি করতে হয়েছে। কোনো উদ্ভাবন শুরুতে অনেক ঝামেলা তৈরি করতে পারে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাজের কল্যাণেই লাগে।

এআই নিয়ে ভয় পাওয়ার মতো কথা বলছেন অনেকেই, তবে বিল গেটস সম্ভবত সেই লাইনে ভাবছেন না। তার চিন্তাভাবনা এআইয়ের প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের দিকেই। নিজেদের জনপ্রিয় পণ্যগুলোয় জেনারেটিভ এআই যুক্ত করে এআই জনপ্রিয় করায় নেতৃত্ব দিচ্ছে মাইক্রোসফট। এটি মানুষকে আরও করিৎকার্মা ও সৃজনশীল হতে সাহায্য করবে। তবে, এই প্রযুক্তির হাত ধরেই খুব দ্রুত চূড়ান্ত ধ্বংস নেমে আসবে – এমন সতর্কতাও দিয়েছেন প্রযুক্তি সেক্টরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

তবে গেটস এর আগেও বলেছেন, এআই প্রলয় ডেকে আনবে এমন ভয় পাওয়া অনুচিত। এআইয়ের সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে ডিপফেইক এবং এআই ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচন এবং গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। গেটস আশাবাদী যে এআই যেমন ডিপফেইক বানাতে পারে, ঠিক তেমনি ডিপফেইককে শনাক্তও করতে পারবে।