প্রযুক্তি প্রতিদিন ডেস্ক: টিকটকে বিজয়ের মাসে #আমারবাংলাদেশ হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন এরইমধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার জায়গা থেকে টিকটকে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের সৃজনশীল কনটেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করছেন তারা।
টিকটকে বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটররা খাবার, ফ্যাশন, ভ্রমণ এবং তথ্যপূর্ণ ভিডিওর মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরছেন। #আমারবাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অ্যাপটি দিয়ে এসব ক্রিয়েটরদের ভিডিও বিশ্বব্যাপী সবাই দেখতে পাচ্ছেন এবং প্ল্যাটফর্মটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।
কিছু ভিডিও ক্রিয়েটর সারা দেশে, দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তাদের ভিডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে আনছেন, যাতে দর্শকরা টিকটকে সেগুলো দেখতে পারেন। অনির্বাণ কায়সার (@anirban_kaisar) এবং নওশাদ হোসেনসহ (@noushadhossain121) ক্রিয়েটররা বাংলাদেশের সুন্দরসব পর্যটন স্পট এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য পর্দায় তুলে আনছেন।
ঐতিহাসিক স্থান যেমন, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের প্রাচীন পানাম নগরী, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের মনোরম সৌন্দর্য এবং বান্দরবানের বগা লেকের অসাধারণ দৃশ্য সবই বিস্ময়কর, যা এসব ক্রিয়েটরদের লেন্সে ধরা পড়েছে এবং সেগুলোতে মানুষ ঘুরতে যাচ্ছে।
অনেক বিখ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর বাংলাদেশের লাল-সবুজ রং দিয়ে টিকটকে ভিডিও তৈরি করছেন। নয় মাসের দীর্ঘ যুদ্ধ শেষে যারা বিজয় এনেছেন, দেশের মহান সেই যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতেও টিকটকে আসছেন। হামজা খান শায়ান (@hamzakhanshayan) এর মতো ড্যাশিং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের স্টাইলিশ ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকে প্ল্যাটফর্মটিকে সবসময় জমিয়ে রাখছেন। এগুলোর মাধ্যমে এখনকার বাঙালি পুরুষদের অনুসরণের জন্য।
কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন, রবিন রাফান (@robinrafan) টিকটকে বিনোদনমূল ভিডিও তৈরি করে সবার সঙ্গে দেশের ঐতিহ্য ও ইতিহাস জানিয়ে দিচ্ছেন। এরইমধ্যে মো. রবিউলের মতো কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিকটকে মনোমুগ্ধকর ড্রোন শটের মাধ্যমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করছেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা রত্ন বা প্রতিনিধিত্বমূলক বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরছেন।
আবার তানহা ইসলাম (@foodieshe), জাওয়াদ কাজী (@toohalal1) এবং তৃষা ইসলাম (@herfoodieblog) এর মতো কনটেন্ট ক্রিয়েটররা স্থানীয় রেসিপিগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলছেন এবং খাবারগুলো তৈরি করছেন, যা সত্যিকার বাংলাদেশি খাবার। সরষে ইলিশ, কাচ্চি বিরিয়ানি, আলু ভর্তা, ফুচকা ইত্যাদি বাংলাদেশি খাবার জিহ্বায় জল নিয়ে আসে। নির্মাতারা ঐতিহ্যবাহী ডেজার্ট রেসিপিগুলোও শেয়ার করছেন, যা সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়।
অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য কিংবা দেশাত্মকবোধক গান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধিতে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছিল, যা শেষপর্যন্ত যুদ্ধে জয়ী হতে ভূমিকা রেখেছিল। গবেষণা অনুযায়ী, এই গানগুলো সব প্রজন্মের মানুষের কাছে আবেদন রেখেছে। তারা সাহসী যোদ্ধা ও শহীদদের কীভাবে অনুভব করেন সেটিও জানান দেয়। সেই সঙ্গে গানগুলো বয়স্কদের আবেগতাড়িত করে স্মৃতিচারণ করায় এবং নতুন প্রজন্মকে আরও উন্নত করে তোলে।
অ্যাপের মধ্যেই থাকা কিছু ফিচার, এর মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কুইজ, যা টিকটক ব্যবহারকারীদের তাদের মাতৃভূমি সম্পর্কে কিছু সাধারণ জ্ঞান জানতে সহায়তা করে। এসবের মধ্যে বাংলা ভাষায় কতগুলো অক্ষর রয়েছে এমন সব প্রশ্নের উত্তরও জানতে পারেন ব্যবহারকারীরা।