৩.৯জি সেবা চালু করল গ্রামীণফোন

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) গ্রামীণফোন আজ মঙ্গলবার সকালে বাণিজ্যিকভাবে ৩.৯জি সেবা চালু করেছে। রাজধানীর মধ্যে আপাতত বসুন্ধরা ও বারিধারা এলাকায় সেবাটি প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে, গ্রামীনফোন কতৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায়ও শিগগিরই সেবাটি বিস্তৃত করা হবে। গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাইসেন্স ৩জির হলেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা এ সেবা ৩.৯ জিতে উন্নীত করতে পারবেন। সর্বোচ্চ এ সেবা পেতে হলে গ্রাহকের অবশ্য এইচএসপিএ প্লাস সহায়ক হ্যান্ডসেট থাকতে হবে।
৩.৯জি সেবা প্রায় ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনসেবার কাছাকাছি। গ্রামীণফোনের এ ঘোষণার পর টেলিটক জানায়, তারাও ৩.৯জি সেবা দিচ্ছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যেও কৌতূহল তৈরি হয়। বিটিআরসি এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য সব অপারেটরকে বাড়তি কিছু না বলে শুধু থ্রিজির প্রচার চালাতে নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩জি ও ৩.৯জির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূল প্রযুক্তি হচ্ছে থ্রিজি। কিন্তু এর সঙ্গে হায়ার অর্ডার মড্যুলেশন যোগ করে এ সেবাকে আরো উন্নত এবং গতিশীল করা সম্ভব। ‘আমরা যত বেশি স্পেকট্রাম জোড়া দিতে পারব, তার ওপর ভিত্তি করে এই সেবার মান উন্নত করা সম্ভব হবে।
এইচএসপিএ (হাই স্পিড প্যাকেট অ্যাকসেস) প্রযুক্তির পরের ভার্সনের বা এইচএসপিএ প্লাসের ব্যবহার এ ব্যাপারে আমাদের আরো সহযোগিতা দেবে। আমাদের দুটি ব্লকের ১০ মেগাহার্টজ থ্রিজি স্পেকট্রাম রয়েছে। অর্থাৎ আমাদের থ্রিজি ক্যারিয়ার দুটি।
এই দুটি ক্যারিয়ার একসঙ্গে ব্যবহার এবং অ্যান্টেনা কম্বিনেশন করে থ্রিজিকে প্রায় ফোরজির কাছাকাছি নেওয়া সম্ভব। গ্রামীণফোন সেটাই করতে যাচ্ছে। যে হ্যান্ডসেটগুলোতে এইচএসপিএ প্লাস প্রযুক্তির সুবিধা রয়েছে শুধু সেগুলোতেই ৩.৯জি সেবা গ্রহণ করা যাবে।
বিশ্বের কয়েকটি দেশে থ্রিজি সেবা চালুর পর ওই সেবাকে ৩.৯জিতে উন্নীত করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি নিতে হয়েছিল। থাইল্যান্ডে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে অনেক দেশেই থ্রিজিকে ৩.৫, ৩.৭৫ বা ৩.৯জিতে উন্নীত করতে আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও নেপাল এর উদাহরণ।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, থ্রিজি, ৩.৫জি, ৩.৭৫জি এবং ৩.৯জি একই পরিবারভুক্ত। এর মূল হচ্ছে থ্রিজি। একেক অপারেটর একেক ধরনের স্লট ব্যবহার করে এ সেবাকে ফোরজির প্রায় কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।
এর জন্য আলাদা কোনো অনুমতির দরকার নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য বাড়তি কিছু না বলে প্রচারের ক্ষেত্রে শুধু থ্রিজি বলতে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে।