১৫ লাখ ডলারের টাইগার চ্যালেঞ্জ

(রাফাত বিন আনোয়ার) দেশের উদ্ভাবকদের জন্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার জেতার প্রতিযোগিতা টাইগার চ্যালেঞ্জ শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুলাই থেকে। প্রতিযোগিতাটির আয়োজক দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

টাইগার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় যেকেউ অংশ নিতে পারবেন। ছাত্র, শিক্ষক, স্টার্টআপ কোম্পানি কিংবা হবু উদ্যোক্তা যে কেউ এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। তিনি জানান, বাংলাদেশের কল্যাণে অবদান রাখবে এমন যে কোনো টেকসই ও উদ্ভাবনী ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতেই ‘টাইগার চ্যালেঞ্জ’ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন। আয়োজনটি হবে দুইটি পর্বে। বাংলাদেশ পর্বে ফাইনালিস্টদের মধ্যে থেকে একটি উদ্যোগকে সেরা ঘোষণা করা হবে। উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজয়ীকে প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়াও বৈশ্বিক পর্বে ১৫ লাখ ডলার জেতার সুযোগ থাকছে। এ পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চ্যালেঞ্জের ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে। অনলাইন প্রাপ্ত আবেদন সমূহ এমআইটির বিচারকরা যাচাই করে মোট ১০টি উদ্যোগকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করবেন। অক্টোবর মাসে, আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডের সামনে ফাইনালিস্টরা তাদের উদ্যোগ তুলে ধরবেন এবং নির্বাচিত হবেন।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টাইগার আইটি দেশের লাখ লাখ তরুণের অনুপ্রেরণ এবং উৎসাহের নাম। দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা দেশের দশ কোটি নাগরিকের যে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি তার কিন্তু দিয়েছে টাইগার আইটি। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশী অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তারা কাজ পেয়েছে। টাইগার চ্যালেঞ্জে বিজয়ী উদ্ভাবনী ধারণাকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকেও সহায়তা প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন , বাংলাদেশের প্রকৃত সম্পদ ঞলো এর তরুণ মেধাবীগোষ্ঠী। আমাদের সীমিত সম্পদ তাদের কল্যানে এমনভাবে খরচ করা উচিৎ যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই আয়োজন মেধাবীদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

টাইগার আইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান এই চ্যালেঞ্জ আয়োজনের নেপথ্যের কারণ উল্লেখ করে বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে উদ্ভাবনী প্রজন্ম পেতে আমরা এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশ পর্ব অনুষ্ঠিত হলে দেশের বিজয়ীরা আন্তর্জাতিক পর্বে বা চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবার সুযোগ পাবে। অংশ নিতে নিবন্ধন করতে হবে http://tigeritfoundation.org/challenge/ এই ওয়েবসাইটে। অংশ নেয়া যাবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত।