স্লেন্ডার দ্য অ্যারাইভাল

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) স্লেন্ডার গেমিং সিরিজের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ সংযোজন স্লেন্ডার দ্য অ্যারাইভাল। সিরিজের আগের গেমগুলোর মতোই এই গেমটি। কিন্তু এর দ্রুতি ও গ্রাফিক্স আগের সবই ছাপিয়ে গেছে। গেমটিকে আরো ঘটনাবহুল ও অনবদ্য করে তোলার জন্য পাঁচটি নতুন অধ্যায় যোগ করা হয়েছে। গেমটির মূল চরিত্র লরেনকে নিয়েই। লরেনের বান্ধবী কেটের মার মৃত্যুর পর কেট হারিয়ে যায় ওকসাইড পার্কের ঘন বনে। শুধু পড়ে থাকে আটটি ছেঁড়া পৃষ্ঠা, যা লরেনের দেখা হয় দ্য স্লেন্ডারম্যানের সাথে। এরপর প্রতিমুহূর্তে ঘটতে থাকে চমকপ্রদ সব ঘটনা। গেমটি শুরু করার পরপরই একটি নতুন লেভেল আনলক হয়- হার্ডকোর এন্ডিং। সেখানে সাধারণ মোডে গেমটি শেষ করার পর লরেনের আত্মা রেডিও টাওয়ার থেকে ঘুরতে ঘুরতে রহস্যময় সিরিজ অব সিম্বলসের মধ্য দিয়ে পৌঁছায় নতুন করে ধ্বংসপ্রাপ্ত বনে, সেখান থেকেই মূলত গেমটির অ্যাডভেঞ্চার শুরু। স্লেন্ডার দ্য অ্যারাইভালের চমক যেন শেষ না হয়, সেজন্য সারভাইভাল হররধর্মী এ গেমটিতে টিকে থাকার জন্য রয়েছে সিক্রেট লেভেল, যেখানে একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি থেকে একটি ছোট্ট মেয়েকে খুঁঁজে বের করতে হবে। গেমের শুরুতে বেঁচে থাকার জন্য একমাত্র এলিমেন্ট থাকে একটি টর্চ। লরেন মাথায় আঘাত পাওয়ার পর সেই সম্বলটিতে হারিয়ে যায়। লরেন ও কেট তাদের চার পাশের জিনিসগুলো ব্যবহার করে ধীরে ধীরে আবিষ্কার করে ফেলে গেমের প্রধান প্রতিপক্ষ দ্য স্লেন্ডারম্যানের পরিচয়। গেমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে রিয়েল টাইম গ্রাফিক্স, যা সামান্য কাঠি থেকে শুরু করে গ্যাস সিনিস্টার, লিফট থেকে জেনারেটর সবকিছুই ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। রহস্যধর্মী এ গেমের প্রতি অধ্যায় চমক নিঃসন্দেহে যে কাউকে অভিভূত করবে।
পিসি রিকয়্যারমেন্ট
প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো, ২.৩ গিগাহার্টজ, র‌্যাম : ৩ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড : জি ফোর্স ৮৮০০ জিটি এক্স ২৬০/রেডিওন এইচডি ৪৮৫০ এবং ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেস : ২ গিগাবাইট।