মানুষের খাদ্য উপাদান নিয়ে কাজ করছে গুগল

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগল বিভিন্ন খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত তথ্যাদি সংযুক্তি শুরু করেছে। গুগলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত এ সংযুক্তির ফলে সবাই উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গুগলে এসব তথ্য সংযুক্তির আগে খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। খাদ্যসচেতন ব্যক্তিদের জন্য এর স্বাদের তুলনায় পুষ্টিমানের গুরুত্ব সব সময়ই বেশি। এ কারণে গুগলের এই সংযুক্তি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গুগলের এ সংযুক্তি গ্রাহকদের সমস্যার মাত্রা অনেক কমিয়ে দেবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে কোনো খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গুগলে খোঁজ করা হলে এ-সম্পর্কিত সব তথ্য চলে আসবে গ্রাহকের হাতের নাগালে। এর সাহায্যে একজন গ্রাহক যেকোনো খাদ্যে বিদ্যমান শর্করা, আমিষ, স্নেহজাতীয় খাদ্যমানের সাথে সাথে অন্যান্য খাদ্যমান সম্পর্কেও জানতে পারবেন। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত সংযুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসা খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কোনো খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে এখন একটি সহজ প্রশ্নই (যেমন ‘কলায় কী পরিমাণ ক্যালরি আছে?’) যথেষ্ট বলে জানানো হয়েছে গুগলের পক্ষ থেকে। প্রশ্নের উত্তর একটি তালিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এর পরবর্তী ফলাফলগুলোতে। এতে আরো যুক্ত থাকবে এ অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট সাইটের লিংক। ফলে বিস্তারিত ও প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি থাকবে গ্রাহকের হাতের নাগালেই। খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে একজন গ্রাহক তার ডেস্কটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারবেন আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইলফোস গুলোতেও। এ ছাড়া নতুন সংযুক্ত ভয়েস কন্ট্রোল সিস্টেমেও খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে খোঁজ নেয়া যাবে গুগলে। একজন গ্রাহক তার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের মোট পুষ্টিগুণ খুব সহজেই এর মাধ্যমে বের করতে পারবেন। ফলে মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো সচেতন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গুগলের প্রয়াসকে স্বাগত জানালেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঠিক কতটি পর্যন্ত খাদ্যের পুষ্টিগুণকে গুগল তালিকাবদ্ধ করতে পারবে, সে সম্পর্কেও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যদিও এ পর্যন্ত এক হাজার ধরনের খাদ্যের পুষ্টিমান তালিকাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে গুগল। একই সঙ্গে প্রতিদিন আরো নতুন নতুন খাদ্যের পুষ্টিমানকে তালিকাবদ্ধ করতেও তারা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে গুগল কতৃপক্ষ। অচিরেই আরো এক হাজার খাদ্যের পুষ্টিমান গুগল সার্চে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে গুগলের পক্ষ থেকে। তবে ‘মাই ফিটনেস প্যাল’ বা ‘সেলফ প্রোভাইড’-এর মতো খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছাকাছি যেতে গুগলকে এখনো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সর্বাধিক ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিনে খাদ্যের পুষ্টিমানের এ সংযুক্তির ফলে গ্রাহকরা তাদের খাদ্য বাছাই ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে আরো আগ্রহী হবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা। গুগল খাবারের পুষ্টিমান সম্পর্কিত সব তথ্য নেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ থেকে।