মহাকাশের গভীরে যাবে অরিয়ন

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) অরিয়ন নামের ক্যাপসুল আকৃতির নভোযানটি মহাকাশের অনেক গভীরে যাবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৯১০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল বিমানঘাঁটি থেকে অরিয়নের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ গত বৃহস্পতিবার নির্ধারিত থাকলেও দমকা বাতাস ও রকেটের কারিগরি সমস্যার কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে।
পরীক্ষামূলক এ উৎক্ষেপণে মহাকাশযানটির তাপ সহনক্ষমতা, প্যারাসুট ও অন্যান্য নিরাপত্তাব্যবস্থা যাচাই করে দেখা হবে। মহাশূন্যে ভ্রমণ করে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য নভোচারীদের এসব ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী অরিয়নে চড়ে মানুষ ২০২৫ সাল নাগাদ প্রথমবারের মতো কোনো গ্রহাণুতে পৌঁছাবে। আরও এক দশক পর মঙ্গলে প্রথম মানুষবাহী মহাকাশযান পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নতুন মহাকাশযান অরিয়ন যে দূরত্ব পাড়ি দিতে চায়, মানুষের জন্য তৈরি কোনো নভোযান অন্তত ৪০ বছরে তত দূর যেতে পারেনি।
অরিয়ন এর ভর: ২১.৩ টন
সর্বোচ্চ গতি: প্রতি ঘণ্টায় ৩২১৮৭ কিলোমিটার
ব্যাস: ৫.০৩ মিটার
বসবাসযোগ্য স্থান: ৮.৯৫ ঘনমিটার
ধারণ ক্ষমতা: ৪ থেকে ৬ জন মহাকাশচারী
উৎক্ষেপণকারী: স্পেস লঞ্চ সিস্টেম
নির্মাতা: অস্ট্রিয়াম, লকহিড মার্টিন
যাত্রার সময়সীমা: ৪-৫ ঘণ্টা
পুনরায় প্রবেশকালে গতি: ঘণ্টায় ২০০০০ মাইল
প্রদক্ষিণ করার সময়: ১৭ মিনিট
জ্বালানি: ৪৮৩৫০০ গ্যালন
প্রতি গ্যালনে যায় ০.০০০৮৭ মাইল