মশার সঙ্গে মাইক্রোসফটের লড়াই

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উপকূলে জিকা ভাইরাস আর অন্যান্য রোগ বহনকারী মশার সঙ্গে লড়াইয়ে কাজ করছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। গত বছর ইবোলার প্রকোপের সময় মাইক্রোসফটের গবেষকরা একটি ফাঁদ তৈরি শুরু করেছিলেন।

কোনো সংক্রামক রোগের বিস্তার বন্ধ করতে পারা যায় কিনা দেখার জন্য মাইক্রোসফট সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। এই প্রকল্পটির নেতৃত্বদানকারী মাইক্রোসফটের ইথান জ্যাকসন জানিয়েছেন, ফাঁদটি তিন পায়ার উপড় বসানো ১ ফুট লম্বা টিনের তৈরি, এতে ধরে রাখার জন্য ৬৪টি ঘর আছে। ফাঁদ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়, যা মশাকে আকর্ষণ করে। সম্প্রতি টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টি মাইক্রোসফটের নতুন এই ফাঁদটি পরীক্ষা করছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা, ফাঁদটি তাদের সংক্রামক রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। চলতি বছর জুলাইয়ের শুরুর দিকে ফাঁদগুলোর প্রয়োগ করা শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে মশাবাহিত রোগ চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করবে ফাঁদগুলো আর রোগগুলো কখন শুরু হয় সে সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে।
হ্যারিস কাউন্টি’র জনস্বাস্থ্য নির্বাহী পরিচালক উমাইর শাহ জানিয়েছেন, আমরা ভাবছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাইক্রোসফটের এই ফাঁদ ‘গেইম চেঞ্জার’ হবে। মাইক্রোসফট রিসার্চ-এ বানানো ফাঁদগুলো মশার নির্দিষ্ট জাত চিহ্নিত করবে আর মশা ফাঁদে প্রবেশ করা মাত্রই নথিবদ্ধ করবে। জিকা বা অন্য রোগ বহনকারী মশা ফাঁদে পা দেওয়া মাত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যারিস কাউন্টি পাবলিক হেলথ-এর অফিসে নোটিশ পৌঁছে যাবে। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করছে।
মশা ফাঁদে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অবলোহিত আলো তার উপড় পড়বে। আলোর ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করে মাইক্রোসফটের গবেষকরা মশার জাত চিহ্নিত করবে পারবে। মশা ফাঁদে প্রবেশ করলে, একটি স্প্রিং লোডেড দরজা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। যদি অবলোহিত আলো মশাকে গবেষণার মশাগুলো হিসেবে চিহ্নিত না করে তাহলে দরজা খোলা থাকবে যাতে মশা আবার বাইরে চলে যেতে পারে। ফাঁদের দরজাটি আরেকটি মশা প্রবেশ না করা পর্যন্ত খোলাই থাকবে। ৩,৬০০ মশার জাতের মধ্যে মুষ্টিমেয় কিছু মশা জিকা, ডেঙ্গু জ্বর বা ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বহন করে। শুরুতেই ফাঁদগুলো মশার জাত চিহ্নিত করার মতো ‘স্মার্ট’ হবে না। মাইক্রোসফটকে এই কাজের জন্য জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়-এর উপর নির্ভর করতে হবে। ফাঁদগুলোকে মশার জাত নির্ধারণের জন্য এদেরকে কোন জাত কেমন দেখতে হয় তা শেখানো হবে।