বিপাকে চীনের সামাজিক যোগাযোগ সাইট ট্যানসেন্ট

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ট্যানসেন্ট। চীনের সবচেয়ে বড় আইএম ও সামাজিক সাইট ট্যানসেন্টের উইচ্যাট সেবার গ্রাহক সংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি, যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান। এ পরিমাণ গ্রাহক অর্জনে কোম্পানিটির সময় লেগেছে মাত্র তিন বছর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত ও মেক্সিকোয় তাদের গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি। যার মধ্যে তিন কোটি গ্রাহক যোগ হয়েছে গত তিন মাসে। সৌদি আরবেও কাজ শুরু করেছে সাইটটি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও কার্যক্রম বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে ট্যানসেন্টের। তবে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের (আইএম) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বল্প পরিচিত এ সাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী চীনা নজরদারি ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে শীর্ষ ওয়েব সেবাগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য অনেক সহজেই আহরণ করতে পারে। আর এ ধরনের তথ্য পেতে মরিয়া থাকেন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের ইন্টারনেটে আড়ি পাতা কার্যক্রমের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এ ধরনের সেবার প্রতি মানুষের সন্দেহ আরো বেড়েছে।
ট্যানসেন্ট কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, ট্যানসেন্ট পণ্য উন্নয়ন ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে তথ্য সুরক্ষাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে, সমকক্ষ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সেবার মতো যেসব দেশে আমাদের কার্যক্রম রয়েছে, সেখানকার আইন মেনে চলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে চীনে ছেলে-বুড়ো সবাই উইচ্যাট ব্যবহার করেন। একে অনেকে চীনের ফেসবুক নামেই ডাকেন। এর একেবারে সাধারণ সেবা হচ্ছে বিনামূল্যে টেক্সট মেসেজ আদান-প্রদান। পাশাপাশি ওয়াকিটকির মতো করেই ছোট ভিডিও কিংবা ভয়েস মেসেজ আদান-প্রদান করা। আবার ফেসবুকের মতোই এখানে প্রত্যেক গ্রাহক আলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন।
করপোরেট গ্রাহকরাও তাদের ভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এতে প্রোফাইল খুলতে পারেন।
ট্যানসেন্টের প্রধান নির্বাহী পনি মার জনিয়েছেন, ‘সফল হই বা না হই, এ রকম সুযোগ কোনো কোম্পানির জন্য একবারই আসে।’ আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের পরিচিত করে তুলতে ব্যাপক প্রচার কাজ চালাচ্ছে ট্যানসেন্ট। ভারতের বাজারে বলিউডের তারকা কিংবা মেক্সিকোতে ফুটবল খেলোয়াড়দেরকে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি।