বাতাসে লেখা হবে টেক্সট মেসেজ

প্রচিলত কিপ্যাড বা টাচমনিটরে নয়, বাতাসে লেখার মতো করে হাত নাড়ালেই লেখা হয়ে যাবে টেক্সট মেসেজ। এমওয়াইও আর্মব্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত এয়াররাইটিং নামের দস্তানা পরে যে কেউ ম্যাক কিংবা পিসিতে সহজেই তার মনের কথা লিখতে পারবেন।
দস্তানাটি তৈরি করেছেন জার্মানির কার্লশ্রুহার ইনস্টিটিউট ফর টেকনোলজির গবেষকরা। হাতের প্রতিটি নড়াচড়াকে বৈদ্যুতিক সংকেতে পরিণত করতে সক্ষম এ দস্তানা। শুরুতে বিশেষ একটি কম্পিউটার হাতের নড়াচড়াগুলোকে ধরে সেগুলো বিশ্লেষণ করে। আবার সাধারণ নড়াচড়ার সঙ্গে লেখার ধরনের মধ্যকার পার্থক্য ধরতে সক্ষম এ কম্পিউটার।
তাই অন্য যেকোনো কাজ করতে করতেই এ দস্তানার মাধ্যমে মেসেজ লেখা সম্ভব হবে। এ দস্তানার উদ্ভাবক ডক্টরেট শিক্ষার্থী ক্রিস্টোফ এমা বলেন, ‘রান্না, কাপড় ইস্ত্রি, কারো দিকে হাত নাড়ানোকে সহজেই এড়িয়ে যাবে এ প্রযুক্তি। যাতে শুধু লেখার নড়াচড়াকেই পরিষ্কারভাবে ধরা সক্ষম হয়। অন্যান্য নড়াচড়াকে বাদ দেয়ার ফলে কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানো ছাড়াই কাজ করতে পারে এটি।’ এমার বিশ্বাস, আগামী কাপড়-চোপড়ের অনুষঙ্গ হয়ে উঠবে এ প্রযুক্তি।
বর্তমানে এ প্রযুক্তিটি বড় হাতের অক্ষর চিনতে সক্ষম। এর ভাণ্ডারে রয়েছে আট হাজার শব্দ।
এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে দস্তানাটি। এর ভুলের মাত্রা বর্তমানে ১১ শতাংশ। তবে বারবার ব্যবহার করলে গ্রাহকের নড়াচড়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে থাকে প্রযুক্তিটি। তাতে ভুলের মাত্রা ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
এয়াররাইটিং দস্তানা উদ্ভাবনের জন্য ৮১ হাজার ডলার মূল্যের গুগল ফ্যাকাল্টি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এমা এবং তার সহযোগী গবেষক অধ্যাপক তানহা শুলজ। তারা পুরস্কারের অর্থ দিয়ে মোবাইল যন্ত্রাংশের জন্য উপযোগী করে তুলছেন এ প্রযুক্তিকে।