ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপস বন্ধ

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। গত ১৮ নভেম্বর দুপুর ১২টায় সরকারের নির্দেশে এসব মাধ্যম বন্ধ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ফেসবুক, ভাইবারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। একটি জীবনের মূল্যের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। তাই এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে না পারার সাময়িক কষ্টটুকু জনগণকে মেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি।
বিটিআরসি সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের সহাকারী পরিচালক তৌসিফ শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ তাৎক্ষণিকভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরে একই রকম আরেকটি নির্দেশনায় স্কাইপ, লাইন, ট্যাংগো, হ্যাংআউটসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের ওয়েবসাইটও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগেও একবার চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ‘নিরাপত্তার’ কারণ দেখিয়ে ভাইবার, ট্যাংগো, হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন নামের পাঁচটি অ্যাপসের সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এসব অ্যাপস ব্যবহার করতেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করার বিষয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেদারল্যান্ডস থেকে ফিরে ৮ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধরতে জটিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল করেছি। এর শুভ ফলও যেমন আছে, খারাপ ফলও আছে। আমরা থ্রিজি ও ফোরজিতে চলে গেছি। এ কারণে জঙ্গিরা ইন্টারনেট, ভাইবার থেকে শুরু করে নানা ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। সে জন্য আমাদের চিন্তাভাবনা আছে, যদি খুব বেশি ব্যবহার করে, হয়তো একটা সময়ের জন্য বা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেব। এই লিংকগুলো (জঙ্গি অর্থায়নের সূত্র) যাতে ধরা যায়।’