ফেসবুককের প্রতিদ্বন্দ্বি উইচ্যাট

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মধ্যে এখনো শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। এর আগে ফেসবুকের সাথে প্রতিযোগিতা করতে বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগল চালু করেছে গুগল প্লাস। আর নতুন করে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে এসেছে চীনা প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টের তৈরি চ্যাটিং সাইট উইচ্যাট। অচিরেই ফেসবুককে টপকে শীর্ষ অবস্থানে পৌছাতে আশাবাদি উইচ্যাট কতৃপক্ষ। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান হারে চ্যাটিং সেবাভিত্তিক সাইটটির জনপ্রিয়তা বর্তমানে বেড়েই চলেছে। একই হারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উইচ্যাটের গ্রাহকসংখ্যা। অনলাইন দুনিয়ায় টেনসেন্টের দখল চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে। টেনসেন্ট শুরুতে ডেস্কটপের জন্য কিউকিউ নামের ও মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য উইচ্যাট নামক দু’টি চ্যাটিং সেবা চালু করেছিল। এর মধ্যে উইচ্যাট গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে কিউকিউ ও উইচ্যাটের সম্মিলিত মোট মাসিক সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা ১০০ কোটি। এ হিসাবে তারা ফেসবুক থেকে মাত্র ছয় কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমান ধারায় বাড়তে থাকলে অল্প সময়েই সেবা দু’টি গ্রাহকসংখ্যায় ফেসবুককে পেছনে ফেলবে বলে জানিয়েছেন, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। উইচ্যাটে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মধ্যে যোগাযোগ রার জন্য একাধিক ভাষা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আরবি, হিব্রু, ইন্দোনেশিয়ান ও জাপানিজ ভাষা। এ ধরনের সেবাদানের ফলে দেশের বাইরেও সাইটটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাইটটির বিদেশী গ্রাহকসংখ্যা পাঁচ কোটি থেকে বেড়ে ১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
বর্তমানে চীনে ৪৬ কোটি গ্রাহক মোবাইল ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এদের প্রায় সবাই এ চ্যাটিং সেবা ব্যবহার করেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, উইচ্যাট এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে এ সেবা অল্প সময়ের ব্যবধানে গ্রাহকসংখ্যায় বড় বড় সাইটকে পেছনে ফেলবে। বিবিধ উৎস থেকে আয়ের কারণে টেনসেন্ট উইচ্যাটে অধিক মনোযোগ দিতে সম হচ্ছে। এর ফলে উইচ্যাটের গ্রহণযোগ্যতা চীন ছাড়া দেশের বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগের েেত্র ক্রমেই বেড়ে চলেছে উইচ্যাট ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলোর প্রাধান্য। বর্তমান সময়ে অনেক কিশোর ফেসবুক ছেড়ে এসে এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার শুরু করছে।