ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির তালিকায় শাওমি

‘গ্লোবাল ৫০০’ হিসেবে পরিচিত ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ ধারাবাহিকভাবে ৬৭ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ৫০০ করপোরেশনের বার্ষিক র‍্যাঙ্কিং করে এবং তা ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করে। বিগত অর্থবছরে করপোরেশনের আয় এবং মোট মুনাফার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা হয়। চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি যাত্রার মাত্র নয় বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে প্রথমবার ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। চলতি বছর ৮৪ ধাপ এগিয়ে শাওমি ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির তালিকায় ৩৩৮তম স্থান অর্জন করেছে।

২০১৯ সালের ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় ৪৬৮তম স্থান অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ কোম্পানি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে শাওমি। ২০২০ সালে ছিল শাওমির অবস্থান ছিল ৪২২তম। এবারের তালিকায় ২০২০ সালের চেয়ে ৮৪ ধাপ এগিয়ে শাওমির অবস্থান ৩৩৮তম। ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় ইন্টারনেট ও রিটেইল ক্যাটাগরিতে ২০২১ সালের দ্রুততম অগ্রসরমাণ কোম্পানি হিসেবে এই অবস্থান দখল করেছে শাওমি।

শাওমির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও সিইও লেই জুন বলেন, ‘শাওমি এখনও তরুণ কিন্তু উচ্চাভিলাষী প্রতিষ্ঠান, আমরা প্রেরণায় পরিপূর্ণ। আমি বিশ্বব্যাপী শাওমির ফ্যানদের ধন্যবাদ জানাই, তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন শাওমিকে একটি প্রাণবন্ত ও উদ্যোমী কোম্পানি করে তুলতে পেরেছে। আমরা আরও বেশি ও দুর্দান্ত সব রেকর্ড করতে চাই। সামনের বছর ফরচুন ‘গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির তালিকায় আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

গত ১৭ জুলাই বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস শাওমিকে বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় ঘোষণা করেছে, এ সময় শাওমির সরবরাহ করা স্মার্টফোনের হিসাবে অ্যাপলকে পেছনে ফেলে। শাওমির স্মার্টফোন এখন বিশ্বের ১০০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১২টি বাজারে শাওমি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে, আর বাজারে শেয়ারের দিক থেকে ইউরোপে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর সর্বশেষ ১৫ প্রান্তিকে ভারতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে শাওমি।