প্রিজম প্রকল্প তিন মাসের জন্য বৈধতা পেল

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) এনএসএর সাবেক গোয়েন্দা এডওয়ার্ড স্নোডেন চলতি বছরের জুনে প্রিজম প্রকল্পের খবর ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠে সাধারন গ্রাহকদের মধ্যে। এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে এ প্রকল্প নিয়ে। ক্রমেই সমালোচনার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অনেক বিশ্লেষক। গত শুক্রবার বহুল আলোচিত প্রিজম প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনই আবারো তিন মাসের জন্য এ আইনের বৈধতা দিয়েছে ফিসা। এর ফলে মার্কিন সরকারের প্রিজম প্রকল্প আরো তিন মাসের জন্য বৈধতা পেল। মার্কিন সরকারের অনুরোধে এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে দেশটির গোপন গোয়েন্দা আদালত ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিলেন্স অ্যাক্ট কোর্ট (এফআইএসএ-ফিসা)। মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) প থেকে এ প্রকল্পের মেয়াদ নবায়নে আইনি সম্মতি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (ডিএনআই) বর্তমান পরিচালক জেমস কেপার আরো তিন মাসের জন্য এ প্রকল্পের বৈধতার কথা জানিয়েছেন। সরকারের একটি আবেদনের পর ফিসা এ প্রকল্পকে আরো তিন মাসের জন্য বৈধ ঘোষণা করে। এতে মার্কিনদের বিভিন্ন ফোনকল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে আড়ি পাততে পারবে এনএসএ।
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী আক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সম হয়েছে বলে দাবি করেন এনএসএর কর্মকর্তারা। এ প্রকল্পের আওতায় মার্কিনদের ফোনকল ও ইন্টারনেট তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারিতে থাকবে সর্বদা। তবে এতে জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মধ্যে একটি সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকবে বলে জানান কেপার। এ প্রকল্পের ল্যবস্তুরা বেশির ভাগই বিদেশী সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী। এ প্রকল্পের বৈধতার ফলে মার্কিন টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকদের তথ্য নিতে পারবে এনএসএ। এর পাশাপাশি গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটের মতো বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মূল সার্ভারে ঢোকার সুবিধাও পাবে মার্কিন গোয়েন্দারা।