দৃষ্টিহীনদের জন্য আসছে স্মার্টফোন

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) দৃষ্টিহীনদের জন্য স্মার্টফোনে এসএমএস ও ই-মেইল পড়ার সুবিধা চালু করেতে যাচ্ছে ভারত। ব্রেইল পদ্ধতিনির্ভর ডিসপ্লে সমৃদ্ধ স্মার্টফোনটির টেক্সটগুলো ব্রেইল লিপির মতো ডিসপ্লেতে উঁচু হয়ে ভেসে উঠবে। কাজ শেষে আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে।
ভারতের ‘ক্রিয়েইট ডিজাইন সলিউশন’ এমন স্মার্টফোন তৈরিতে কাজ করছে। ডিসপ্লে ছাড়া ফোনটির বাকি সব বৈশিষ্ট্য অন্যান্য স্মার্টফোনের মতোই। শেইপ মেমোরি অ্যালয় টেকনোলজির ব্রেইল ডিসপ্লেটিতে ‘ধাতুর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসা’র গুণটি কাজে লাগানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ধাতু নির্মিত অসংখ্য সূক্ষ্ম পাত বা পিন নির্দিষ্ট ইলেকট্রনিক বলের প্রভাবে প্রয়োজনমতো বাঁকা হয়ে উপরের দিকে উঠে আসবে। তার উপরে থাকা ডিসপ্লে পর্দাটিও সে স্থানে উঁচু হয়ে ওঠে। এভাবে অন্ধদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে কাজ করবে তাদের ডিসপ্লেটি। ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন (এনআইটি) থেকে স্নাতকোত্তর শেষে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ‘ক্রিয়েইট ডিজাইন সলিউশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা সুমিত। একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি আরো পাঁচজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রিয়েইট ডিজাইন সলিউশন। সম্প্রতি আহমেদাবাদের আইআইএম ক্যাম্পাসের সেন্টার ফর ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের ফেলো সুমিত দাগর সম্প্রতি তাদের এ উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, ‘মূলধারার জনগোষ্ঠীর বাইরে প্রযুক্তির সুফল কম পৌঁছাচ্ছে। এ নিয়ে কিছু করার তাগিদ থেকেই আসলে ব্রেইলফোন নিয়ে কাজ করার চিন্তা করি আমরা।’ রোলেক্স অ্যাওয়ার্ডের ইয়ং লরিয়েট প্রোগ্রামের আওতায় প্রাপ্ত বৃত্তির অর্থে তার গড়া প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিয়েইট ডিজাইন সলিউশন’ বিশ্বের প্রথম ব্রেইল স্মার্টফোনটি উদ্ভাবন করেছে। প্রাথমিক মডেলটি প্রস্তুতে দিল্লির আইআইটির সহযোগিতা নিচ্ছেন সুমিত। বর্তমানে হায়দ্রাবাদের এলভি প্রাসাদ আই ইনস্টিটিউটে পরীক্ষামূলক ব্যবহার চালানো হচ্ছে ব্রেইল স্মার্টফোনটির।