তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) গত বছরের বাজেটের তুলনায় এবারের বাজেটে তথ্য-প্রযুক্তি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে চারটি মন্ত্রণালয় মিলিয়ে ২৬ হাজার ৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট বরাদ্দের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে অবাক করার বিষয় বাজেট ঘোষনা বিবরণীতে কম্পিউটার ও পর্যটন খাতকে দেখানো হয়েছে একসঙ্গে। আর এই খাত দুটি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার।ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করে এ সরকারের মেয়াদে বিগত বছরগুলোতে গৃহীত বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান অর্থমন্ত্রী।
এবছর তথ্য প্রযুক্তির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে পণ্যে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে কম্পিউটার ও প্রিন্টার সামগ্রী, সিম কার্ড, সার্ভার র্যাক, ডিজিটাল ক্যামেরা, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের উপর।
ওয়েব ক্যাম, ডিজিটাল ক্যামেরায় বর্তমানে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশীয় সিম কার্ড উত্পাদনকারীর স্বার্থে আমদানি পর্যায়ে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের বদলে ২০ শতাংশ, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আমদানির ক্ষেত্রেও বর্তমানের ১২ শতাংশ শুল্ক হার কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং দেশীয় পর্যায়ে উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণের ক্ষেত্রে ২৫ ও ১২ শতাংশ শুল্ক হার কমিয়ে কোনো শুল্ক আরোপ না করার জন্যও প্রস্তাব করেন তিনি।
থ্রিজি কার্যক্রম শুরু, ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র, প্রতি জেলায় ই-সার্ভিস সেন্টার চালু সহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ২৪ হাজার ওয়েব পোর্টাল চালু, ইপেমেন্ট, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চালুর ঘোষনা দেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট ঘোষনায় অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা নয় কোটি ৮০ লাখ, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ৪০ লাখ এবং টেলিডেনসিটি ৬৪.৪ শতাংশ ও ইন্টারনেট ডেনসিটি ১৯.৯ শতাংশ।
তবে ইন্টারনেটের ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের কোনো সুপারিশ বাজেটে না দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।