ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য তৈরী করা হয়েছিল অ্যান্ড্রয়েড

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) সম্প্রতি টোকিওতে আয়োজিত জাপান নিউ ইকোনমি সম্মেলনে অ্যান্ড্রয়েডের রূপকার ও সাবেক প্রধান অ্যান্ডি রুবিন জানিয়েছেন, স্মার্ট ক্যামেরার উপযোগী অপারেটিং সিস্টেম হিসেবেই অ্যান্ড্রয়েড তৈরী করেছিলাম আমি। এর পরে তা সেলফোনে ব্যবহার করা হয় এবং তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
তবে ক্যামেরার জন্য যে প্লাটফর্ম ও অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল, তার সাথে সেলফোনে ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েডের কোনো পার্থক্য নেই। গবেষণা দল চাইছিল তার কিংবা তারবিহীনভাবে বিভিন্ন ক্যামেরার মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করতে। উদ্দেশ্য ছিল ক্যামেরায় তোলা ছবি সরাসরি ক্লাউড সার্ভারে আপলোড করার ব্যবস্থা প্রণয়ন। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছিল অ্যান্ড্রয়েড ডাটা সেন্টার। তবে এ খাতের প্রবৃদ্ধি বিশেষ করে ক্যামেরার বাজার কিছুটা ধীর হওয়ায় স্মার্টফোনের দিকে নজর দেন অ্যান্ড্রয়েড গবেষকেরা। সে সময় ক্যামেরার বাজারে আশাব্যঞ্জক তেমন কিছু ছিল না। তিনি বলেন, ‘তার বদলে মাইক্রোসফট ও সিমবিয়ানের আধিপত্য নিয়েই বেশি মাথাব্যথা ছিল আমার। কিন্তু তখনো আইফোন কোনো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি।
রুবিন বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম বেশিসংখ্যক সেলফোনে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার নিশ্চিত করতে। তাই ৯৯, ৫৯ কিংবা ৬৯ ডলার ফি ধার্য করার বদলে অ্যান্ড্রয়েডকে বাজারে বিনামূল্যের ওএস হিসেবেই ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১০ সালে অ্যান্ড্রয়েড দলের লক্ষ্য ছিল স্মার্ট ক্যামেরা ওএস বাজারের ৯ শতাংশ দখল করা। কিন্তু স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবেই অভাবনীয় সাফল্য পায় ওএসটি। ২০১২ সালে বিশ্বের স্মার্টফোন বাজারের ৬০ শতাংশই ছিল অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর হ্যান্ডসেটগুলোর দখলে। এখন শুধু স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট নয়, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার হচ্ছে টিভি, রেফ্রিজারেটর, গেমিং কনসোল সহ অত্যাধুনিক নতুন ধরনের স্মার্ট ক্যামেরাগুলোতে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।