ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনের জন্য আসছে নতুন মাইক্রোপ্রসেসর

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) বিশ্বব্যাপি কম্পিউটার চিপ ও প্রসেসর নির্মাণে খ্যাতি রয়েছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের। তবে মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ইন্টেল। বিশ্বব্যাপি ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের চেয়ে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি পিছিয়ে পড়েছে ইন্টেল। বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাটম মাইক্রোপ্রসেসর বাজারে আসবে চলতি বছরের শেষ দিকে। এই প্রসেসরটি মূলত ব্যবহার হবে ট্যাবলেটে। আর স্মার্টফোনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ম্যারিফিল্ড প্রসেসর আগামী বছরের প্রথম দিকে বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টেল কতৃপক্ষ। বর্তমানে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের জন্য প্রসেসর তৈরি করে এগিয়ে রয়েছে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী এআরএম। এদের তৈরি চিপ ব্যবহার করছে কোয়ালকম, এনভিডিয়া, মিডিয়াটেক, অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনেই এআরএম চিপ ব্যবহার হচ্ছে। কার্যক্ষমতার দিক দিয়ে এআরএমের প্রসেসরগুলো কেন যেন স্মার্টেফান ও ট্যাবলেট নির্মাতাদের কাছে তা সমাদর পায়নি। ইন্টেলের কতৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘সিলভারমন্ট সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তিনির্ভর প্রসেসর। এছাড়াও ইন্টেলের ২২ ন্যানোমিটার প্রসেসরগুলো এরই মধ্যে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টিতে সমর্থ হয়েছে। প্রচলিত অ্যাটম প্রসেসরের তুলনায় সিলভারমন্ট প্রসেসরগুলোর গতি তিন গুণ বেশি। এগুলো আবার পাঁচ গুণ শক্তিসাশ্রয়ী।
পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাটম প্রসেসরগুলোয় থাকবে ৮ কোর। স্মার্টফোনে সাধারণত ডুয়াল কোর প্রসেসর ব্যবহৃত হয়। ট্যাবলেটে থাকে কোয়াড কোর প্রসেসর। তবে ৮ কোর প্রসেসরগুলো মূলত মাইক্রোসার্ভারের জন্য ব্যবহার করা হবে। ইন্টেল জানিয়েছে, স্মার্টফোনগুলোয় ব্যবহৃত এআরএমের কোয়াড কোর প্রসেসরগুলোর তুলনায় তাদের ডুয়াল কোর সিলভারমন্ট প্রসেসরগুলো গড়ে ৫০ শতাংশ বেশি গতিসম্পন্ন। একটু দেরিতে হলেও মোবাইল প্রসেসর তৈরিতে ইন্টেলের এ উদ্যোগ এ বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি করবে। বে ট্রেইল ও ম্যারিফিল্ড প্রসেসর তৈরি হচ্ছে ইন্টেলের ২২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সিলভারমন্টের সাফল্যের ওপরই ইন্টেলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।