জনপ্রিয় হচ্ছে ই-সিগারেট

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) মজার ব্যপার হলো সিগারেটের মরণনেশা থেকে বাঁচতে সিগারেটই হয়ে উঠেছে ওষুধ। আর এ ওষুধ সিগারেটের নাম হচ্ছে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট। ২০০৫ সালে চীনের গোল্ডে ড্রাগন হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম ই-সিগারেট বাজারে ছাড়ে। আর বর্তমানে ন্যাপস্টার, পেপালের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিশেষ ধরনের এ সিগারেটের পেছনে বিনিয়োগ করছে। ইলেকট্রনিক সিগারেট মূলত ধূমপায়ীদের নেশা কমানোর ব্যবস্থা। এটি ব্যাটারি চালিত এমন এক ডিভাইস, যা দেখতে সিগারেটের মতো হলেও ভেতরে নিকোটিন থাকে খুব সামান্য। টানবেন, ধোঁয়া বেরোবে, ধোঁয়ায় নিকোটিনের গন্ধ আছে বলে মনেও হবে। কিন্তু এর ফলে শরীরের তেমন ক্ষতি হবে না। বর্তমানে শুধু আমেরিকার সাড়ে চার কোটি ধূমপায়ীর মধ্যে ২৫ লাখ ই-সিগারেট ব্যবহারকারী। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রির হিড়িক পড়েছে। তাই ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ই-সিগারেট ওষুধের দোকানে বিক্রি হবে, তবে কোনো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তা কেনা যাবে।
চলতি বছরেই প্রায় ২০০ কোটি ডলারের ই-সিগারেট বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আগামী ২০১৭ সাল নাগাদ তা এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।