উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারে বিরম্বনা

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) সম্প্রতি মাইক্রোসফটের কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারীকে সতর্ক করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। উইন্ডোজ এক্সপির নিরাপত্তাব্যবস্থায় যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা যেকোনো সময় বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। আর এ কারনেই এক্সপির পর বাজারে কয়েকটি ওএস ছেড়েছে মাইক্রোসফট। আর এ কারনেই বিশেষজ্ঞরা ব্যবহারকারী শিগগিরই নতুন ওএসে হালনাগাদ না করলে সাইবার হামলার শিকার হতে পারেন বলে তারা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, আগামী বছর ৮ এপ্রিল থেকে উইন্ডোজ এক্সপির যাবতীয় আপডেট বন্ধ করে দেয়া হবে। এর ফলে আপনি কোনোভবেই আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমকে অনলাইন আপডেট করতে পারবেন না। সিকিউরিটি প্যাঁচ ফাইল, সিকিউরিটি আপডেট সিস্টেম, নন সিকিউরিটি হট ফিক্সসহ যাবতীয় ফাইল মাইক্রোসফট আর পরিষেবাপ্রদান বন্ধ করে দিচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উইন্ডোজ এক্সপির বন্ধ হওয়ার খবরটা বিপর্যয় হিসাবে দেখছে বিশেষজ্ঞমহল। মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে দেশ বিদেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংকের কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সাধারনত মাইক্রোসফট বৈধ ওএস ব্যবহারকারীকে কখনো বিনামূল্যে বা কখনো অর্থের বিনিময়ে সেবা দেয়। আর এ কারনেই এখনো এক্সপি ব্যবহারকারীকে সেবা দিচ্ছে মাইক্রোসফট। নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত হলে তার সমাধান দিতেও দেরি করে না। এক্সপি থেকে মাইক্রোসফটের মনোযোগ সরে যাওয়ার সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা। নিরাপত্তা তথ্য হালনাগাদ ও প্যাঁচের অনুপস্থিতিতে ব্যবহারকারী যেকোনো সময় বিপদে পড়তে পারেন। চোখের পলকেই ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে হ্যাকারের দখলে।
২০০১ সালের আগস্টে এক সময়ের তুমুল ব্যবহৃত ওএসটি বাজারে আনে মাইক্রোসফট। এরপর বিভিন্ন সময় এর হালনাগাদ সংস্করণ উন্মোচন করে। বর্তমানে তারা এক্সপির সার্ভিস প্যাক থ্রি সরবরাহ করছে। এক্সপির পর ২০০৬ সালে উইন্ডোজ ভিসতা, ২০০৯ সালে উইন্ডোজ ৭ ও ২০১২ সালে উইন্ডোজ ৮ বাজারে এসেছে।