ই-মেইলে স্প্যাম ছড়ানোর শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

সম্প্রতি প্রযুক্তি নজরদারি প্রতিষ্ঠান সফোসল্যাবের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রেই স্প্যাম মেইল পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্প্যাম মেইল আদান-প্রদানের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে সফোসল্যাব।
বর্তমানে সারা বিশ্বে উৎপাদিত জাঙ্ক মেইলের ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। স্প্যাম বা জাঙ্ক মেইল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে উদীয়মান প্রযুক্তির দেশ চীন। প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া ভারত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। বিশ্বের মোট স্প্যামের যথাক্রমে ৮ দশমিক ২ ও ৪ দশমিক ২ শতাংশ উৎপাদন করে চীন ও ভারত। স্প্যাম উৎপাদনের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য দেশগুলো হলো পেরু, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি। সফোসল্যাব কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী কোম্পানি তাদের নি¤œমানের পণ্যের বিক্রি বাড়াতে মার্কিন লেবেল গায়ে লাগিয়ে এসব ই-মেইল পাঠায় ব্যবহারকারীদের পিসিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকানা থেকে স্প্যাম পাঠানো হলেও এগুলোর বেশির ভাগের উৎপত্তি দেশটির বাইরে থাকা বিভিন্ন সার্ভারে। এ দিকে স্প্যাম পাঠানোয় যুক্তরাষ্ট্র দেশ হিসেবে শীর্ষে থাকলেও, মহাদেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জাঙ্ক মেইল উৎপন্ন করে এশিয়া। বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশটি থেকে উৎপন্ন হয় ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ স্প্যাম। এ দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর আমেরিকা। এ খাতে তাদের দখল ২২ শতাংশ। সফোসল্যাব কতৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সব থেকে বেশি স্প্যাম উৎপাদন করলেও বিশ্বের প্রায় কোনো দেশই জাঙ্ক মেইল তৈরি থেকে বিরত নেই। প্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়লেও নতুন করে স্প্যাম মেইল ছড়ানোয় শীর্ষস্থান ররেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে স্প্যাম পাঠানোয় শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ভারত, চীন কিংবা নাইজেরিয়ার মতো দেশ।