ই-মেইলের বিকল্প নিয়ে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা

ই-মেইলের বিকল্পব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করেছে ফরাসি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাটোস। ই-মেইলের বিকল্প হিসেবে অ্যাটোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে।
আগামী বছরই তাদের অভ্যন্তরীণ দাফতরিক কাজ ই-মেইলমুক্ত করার চিন্তা করছে অ্যাটোস। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিবিট মেলায় অ্যাটোস নতুন যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে একটি প্রকল্প প্রদর্শন করছে।
সম্প্রতি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনসের এক জরিপে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দিনের ২৮ শতাংশ সময় শত শত ই-মেইল পড়া, কম্পোজ করা কিংবা শুধু শুধু ঘাঁটাঘাঁটি করে অফিসের কর্মঘন্টা অপচয় করছেন। বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা অফিস সময়ের এক-তৃতীয়াংশ সময় ই-মেইলের পেছনে কাটান এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ই-মেইলের বিকল্প নিয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন। ই-মেইলের এ মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কেবল অ্যাটোসই বিরক্ত নয়। এ তালিকায় রয়েছে ল্যানভি, ডেলয়েট ও ইন্টেলের মতো প্রতিষ্ঠান। ই-মেইল ব্যবহার না করেও যে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করা যায়, এ রকম কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করছেনে ই-মেইল বিরোধীরা। তবে ই-মেইলের উপকারিতা অস্বীকার করেননি কোনো বিশেষজ্ঞ।
অ্যাটোসের পরিচালিত প্রকল্পটির প্রধান রবার্ট শ জানিয়েছেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান একটি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ চায়। এ জন্য ২০১৪ সাল নাগাদ ই-মেইলের বিকল্পব্যবস্থা চালু করা হবে। অ্যাটোসের ২০ হাজার কর্মী এখন ‘ব্লুকিইউ’ নামের প্রকল্পে অংশ নিয়ে বার্তা আদান-প্রদান করছেন। অ্যাটোস মনে করে, বিকল্প বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থায় একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। জার্মানিভিত্তিক লবিং প্রতিষ্ঠান বিটকমের প্রধান ডায়েটার কেম্ফ বলেন, আমাদের সমাজে যোগাযোগব্যবস্থায় ই-মেইলের অসামান্য অবদান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ ব্যবস্থায় অনেকে একসাথে অংশ নিতে পারেন না। এটি যথেষ্ট স্বচ্ছ ও মুক্ত নয়। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মতো বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে পারি আমরা। তবে ই-মেইলকে পুরোপুরি বিদায় জানানো সহজ নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকর।