শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এখন শাওমি

ইউরোপে প্রথমবারের মতো চীনা ব্র্যান্ড হিসেবে শাওমি শীর্ষস্থান দখল করেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটেজি অ্যানালিটিক্স বলছে, সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন বিক্রি করে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে শাওমি। শীর্ষ অবস্থানের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শাওমি সরবরাহ করেছে ১ কোটি ২৭ লাখ স্মার্টফোন। চীনা প্রযুক্তি লিডার হিসেবে শাওমি প্রতিবছর ৬৭ দশমিক ১ শতাংশ করে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি করেছে। এর ফলে শাওমির বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এতে বাজারটিতে অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় শাওমি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুবিধা করতে পারবে।

অন্যদিকে একই সময়ে কোরিয়ান টেক জায়ান্ট স্যামসাং বাজারটিতে ১ কোটি ২০ লাখ ফোন সরবরাহ করেছে। স্যামসাংয়ের ফোন সরবরাহ গত বছরের চেয়ে কমেছে ৭ শতাংশ। যদিও ব্র্যান্ডটি এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন সরবরাহকারী হিসেবে শীর্ষস্থানেই রয়েছে।
আরেক জায়ান্ট অ্যাপল এই সময়ে তাদের আইফোন ১২ দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে তারা গত বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছে।

সবমিলিয়ে ইউরোপে ২০২১ সালে স্মার্টফোন সরবরাহ আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে স্মার্টফোন সরবরাহ হয়েছে ৫ কোটি ১০ হাজার। ইউরোপ এখন করোনা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। কোভিড-পরবর্তী সময় হিসেবে পুরো ইউরোপেই স্মার্টফোনের চাহিদাও বেড়েছে বেশ পরিমাণেই।

শাওমি তাদের ডিভাইসের দামের ওপর নজর দেয়ায় পুরো ইউরোপে ব্র্যান্ডটির বাজার বড় হয়েছে। স্ট্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের মুখপাত্রের মতে, শাওমি স্মার্টফোনের সমৃদ্ধ ফিচার এবং দাম, বিশেষ করে মি ও রেডমি সিরিজের স্মার্টফোন দিয়ে এই সফলতা আনতে পেরেছে ইউরোপের বাজারে। রাশিয়া, স্পেন, ইতালি এবং ইউক্রেনে এই সিরিজগুলো দিয়ে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি দেখেছে শাওমি।

শাওমির উত্থানের আরেকটি কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে হুয়াওয়ের পিছিয়ে যাওয়া। বাজারটিতে এক সময় ভালো অবস্থানে থাকা হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগলের সেবা বন্ধ হয়ে গেলে বাজার থেকে ছিটকে পড়ে। শাওমির ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস মি ১১ কম দামের হয়েও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস২১ আল্ট্রার সমান পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। মি ১১ ফোনটির দাম কমানো হয়েছে, ফলে গ্রাহকরা সর্বনিম্ন খরচ করে একটি প্রিমিয়াম এক্সপেরিয়েন্স পাবেন ফোনটিতে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপের বাজারে ব্যাপক সফলতার পর শাওমি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের চিন্তা করতে পারে।