অ্যাকশন গেম : টম্ব রাইডার

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) অ্যাকশন ধাঁচের হলেও এই গেমটি খেলতে হলে আপনাকে প্রতিমূহুর্তে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। হলিউড কাঁপানো চলচ্চিত্র ‘টম্ব রাইডার’ গল্প অবলম্বনে প্রথমবারের মতো ২০০৮ সালে নির্মিত হয় গেম ‘টম্ব রাইডার : আন্ডারওয়ার্ল্ড’। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল হওয়ায় স্কয়ার অ্যানিক্সের ব্যানারে সম্প্রতি আবারও বাজারে এসেছে গেমটির দ্বিতীয় সংস্করণ ‘টম্ব রাইডার’। নির্ভীক অভিযাত্রী লারা ক্রফট [গেমটির প্রধান চরিত্র]। অজানা এক পথের খোঁজে সমুদ্রযাত্রা শুরু করে লারা ও তার দলের সঙ্গীরা। সমুদ্রযাত্রার পর হঠাৎ লারার বিষণ্ন মনে দানা বাঁধে অজানা এক দুশ্চিন্তা। খানিক বাদেই পরিবর্তন হয়ে আসে চারদিকের আকাশ। কালো মেঘ এসে ছেয়ে ফেলে সারা সমুদ্র। শুরু হয় প্রবল বর্ষণ আর ঝড়। তখন সমুদ্রযানে অভিযাত্রী লারা ও তার সঙ্গীদের কিছুই করার থাকে না। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয়ে আক্রান্ত হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় তাদের জাহাজ। বাধ্য হয়ে জাহাজের সবাইকে জীবন বাঁচাতে ঝাঁপ দিতে হয় অথৈ সমুদ্রে। কূল খুঁজে না পেয়ে ঝড়ের তাণ্ডবে এক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সবাই। তবে লারা জানত না, তার জন্য অপেক্ষা করছে অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা। ঝড় থেমে যেতেই জ্ঞান ফিরে আসে তার। বিধ্বস্ত লারা তখন চারদিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করে, কোথায় আছে তারা। কিছু বোঝার আগেই জাপানের ইয়ামাতাই দ্বীপে ভেসে ওঠা লারা ও তার সঙ্গী বন্দি হয় সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। ওই রাজ্যের প্রধান ছিলেন চন্দ্র রানী ‘হিমিকো’। তার দম্ভ ও অহঙ্কারের বশবর্তী হয়ে একপ্রকার অতিষ্ঠ জীবন-যাপন করছিল সেখানকার সবাই। চমৎকার গেমটিতে গেমারকে অবতীর্ণ হতে হবে যথারীতি গেমের প্রধান চরিত্র লারা ক্রফটের ভূমিকায়। আর এ সময় গেমার নিজেকে এবং তার দলের সবাইকে মুক্ত করার পাশাপাশি বিশ্বাস অর্জন করতে হবে সেখানকার মানুষের। এভাবে নেতৃত্বদানে বলিষ্ঠ হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ লোকজনকে নিয়ে ধ্বংস করতে হবে সেই চন্দ্র রানীর বিশাল সৈন্যদল। শত্রুপক্ষের বিপরীতে লড়তে গেমারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে হাতের কাছের সবকিছুই। অর্জন করতে হবে পরবর্তী দিনের জন্য টিকে থাকার রসদ। এভাবে শত্রুকে ধরাশায়ী করে গেম লেভেল অতিক্রম করতেই গেমার ক্রমান্বয়ে সম্মুখীন হবে আরও প্রতিকূল পরিস্থিতির। এমন ঘোলাটে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গেমারের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ম্যাপ। গেমটিতে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তির ভৌতিক শব্দমূর্ছনা এবং গ্রাফিক্স যেন প্রকৃত বাস্তবতার মুখোমুখি করবে গেমারকে।
প্লে স্টেশন৩, এক্সবক্স৩৬০ ও মাইক্রোসফট উইন্ডোজ চালিত পিসিসহ প্রায় সব ধরনের গেমিং ডিভাইসেই সমানতালে উপভোগ করা যাবে ‘টম্ব রাইডার’।
প্রয়োজনীয় হার্ডোয়্যার : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই-৬৩০০ সিরিজের ১.৮৬ গিগাহার্জ বা অ্যাথলন ৬৪ এক্স-২ ডুয়াল কোর ৪০০০+ সিরিজের প্রসেসর, ২ গিগা র‌্যাম, ডাইরেক্ট এক্স৯, এনভিডিয়া জি-ফোর্স ৮৬০০ জিটি অথবা এএমডি জিপিইউ র‌্যাডন এইচডি ২৬০০ এক্সটি সিরিজের ১ গিগা গ্রাফিক্স কার্ড এবং কমপক্ষে ১২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস।