অ্যাকশন গেম : ওয়াস্টল্যান্ড ২

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) ১৯৮৮ সালে নির্মিত অ্যাকশনধর্মী গেম ওয়েস্টল্যান্ড সিরিজে যুক্ত হতে যাচ্ছে পরবর্তী সংস্করণ ‘ওয়েস্টল্যান্ড ২’। .গোয়েন্দা কাহিনীপ্রিয় গেমারদের কাছে জনপ্রিয় গেম ‘ওয়েস্টল্যান্ড’। ১৯৯৮ সালে যুদ্ধে লিপ্ত পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলো। প্রতিশোধ ও ক্ষমতার দাম্ভিকতায় যখন মত্ত সবাই। তখন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সব পরমাণু শক্তিধর দেশ অভ্যন্তরীণ সঙ্কট সমাধানে আগ্রহী হয়। সবাই মিলে সমাধানের লক্ষ্যে আয়োজন করে একটি সম্মেলন। সেখানে সবাই সমাধান খুঁজে বের করার পরিবর্তে মেতে ওঠে পরস্পরের ব্যর্থতা অন্বেষণের পিছনে। দাম্ভিকতায় অন্ধ সেসব রাষ্ট্রপ্রধান এক সময় প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরোধিতা করতে শুরু করে। ফলে সম্পূর্ণ পণ্ড হয়ে যায় শান্তিময় সম্মেলন। শত্রæভাবাপন্ন সব রাষ্ট্র জড়িয়ে পড়তে থাকে যুদ্ধে। যুদ্ধের বলি হতে থাকে সাধারণ মানুষ। ধ্বংসের লড়াইয়ে পারমাণবিক বিস্ফোরণে সমগ্র আমেরিকা মুহূর্তেই পরিণত হয় ধ্বংসযজ্ঞে। এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অসহায় মানুষ দিশেহারা হয়ে খুঁজতে থাকে নিউক্লিয়ার প্রভাব থেকে বাঁচার মতো আবাসস্থল। চমৎকার এ গেমটিতে গেমারকে খেলতে হবে ইউএস আর্মির একজন বেঁচে যাওয়া সেনার ভূমিকায়। এ সময় বেঁচে যাওয়া অন্য শত্রæসেনাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে সাধারণ মানুষদের। আর তাদের সাথে নিয়ে পাড়ি দিতে হবে টেক্সাস ও আরিজোনা শহর অধ্যুষিত বিশাল মরুভূমি এলাকা। মরুভূমিতে টিকে থাকার পাশাপাশি সংঘটিত হয়ে ধ্বংস করতে হবে শত্রæসেনাদের দল। গেমটি খেলার সময় গেমারকে সহযোগিতা করতে থাকছে ত্রিমাত্রিক ম্যাপ, যাতে প্রতিটি নির্দেশনা উল্লেখ থাকবে। গেমটির গ্রাফিক্স ও শব্দকৌশল গেমারকে পরিপূর্ণ ত্রিমাত্রিক জগতের অনুভূতি দিতে সক্ষম হবে। লিনাক্স, মাইক্রোসফট প্রভৃতি উইন্ডোজ চালিত পিসিসহ প্রায় সব ধরনের গেমিং কনসোলেই সমানতালে উপভোগ্য হবে গেম ‘ওয়েস্টল্যান্ড ২’।
প্রয়োজনীয় সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট : গেমটি খেলতে প্রয়োজন হবে ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ই-৬৫৪০ সিরিজের ২.৩ গিগাহার্জ বা এএমডি অ্যাথলন ৫২০০বি ডুয়েল কোর প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যাম, এনভিডিয়া জি-ফোর্স ৮৮০০ জিটি অথবা র্যাডন এইচডি ৩৮৭০ সিরিজের ১ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড, ডিরেক্ট এক্স-১০ এবং কমপক্ষে ৫ গিগাবাইটের হার্ডডিস্ক স্পেস।