অচিরেই ইচ্ছে মতো অপারেটর বদলের সুযোগ পাবে গ্রাহক

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি আগামী ছয় মাসের মধ্যে মোবাইল নাম্বার পোর্টাবিলিটি বা এমএনপি চালু করার জন্যে কাজ শুরু করবে। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠক থেকেই এ বিষয়ে অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি কতৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বিটিআরসি’র কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নাম্বার পোর্টাবিলিটি আধুনিক সেবা প্রযুক্তির অন্যতম হাতিয়ার। এমএনপি হল মোবাইল ফোন গ্রাহকের আগের নম্বর বিদ্যমান রেখেই ইচ্ছে মতো অপারেটর বেছে নেওয়ার সুযোগ। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহক তার বর্তমান অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ঠু না হলে তার আগের নম্বর ঠিক রেখেই তিনি নতুন কোনো অপারেটরে চলে যেতে পারবেন। অর্থ্যাৎ, কারো যদি এয়ারটেলের নাম্বার থাকে, এবং তিনি গ্রামীণফোনে যেতে চান, তাহলে তিনি রবির নাম্বারটি পরিবর্তন না করেই গ্রামীণফোনের সেবা নিতে পারবেন।
২০০৮ সাল থেকে নাম্বার পোর্টাবিলিটির জন্যে কাজ করছে বিটিআরসি। এর মধ্যে গত বছর ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এক বছরের মধ্যে বিটিআরসিকে এমএনপি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরে এক বছরেরও বেশী সময় চলে গেলেও এমএনপি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ বলেছেন, তারা এমএনপি’র বিপক্ষে। কারণ এর ফলে নতুন অপারেটরদের সম্ভাবনা বাড়লেও তারা খানিকটা হলেও ঝুঁকিতে পড়বেন।
এয়ারটেলের কর্পোরেট বিভাগের প্রধান আশরাফুল হক চৌধুরী বলেছেন, এর আগে দফায় দফায় তারা এমএনপি’র বিষয়ে দাবি জানালেও শেষ পর্যন্ত এটি আধারেই থেকে গেছে। এখন অনেক বিলম্ব হয়ে গেলেও এটি বাস্তাবায়িত হলে তাতে গোটা দেশেরই লাভ হবে।
বর্তমানে ভারতে অপারেটর পরিবর্তনের জন্যে ১৯ রুপী করে খরচ করতে হয়। থাইল্যান্ডে খরচ করতে হয় ৯৯ বাথ করে। তবে মালয়েশিয়াতে এটি ফ্রি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ব্রাজিলসহ অনেক দেশেই এখন এমএনপি আছে। পাশের ভারত ২০০১ সালে এই প্রযুক্তি গ্রহন করেছে।