(প্রযুক্তি প্রতিদিন) দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের পছন্দের শীর্ষে স্যামসাং ও হুয়াওয়ের পরের অবস্থানেই রয়েছে চীনের স্মার্টফোন ব্রান্ড শাওমি। দ্রুত গ্রাহক বাড়লেও শাওমি’র কাষ্টমার কেয়ার সার্ভিস সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না গ্রাহক।
সম্প্রতি শাওমির ঢাকার গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ গ্রাহকই হতাশ। অনেকেই শাওমির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন।
মিরপুর থেকে হিমেল এসেছিলেন শাওমির বসুন্ধরা সিটির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে। তিনি শাওমি রেডমি ফোর এক্স ফোনটি ব্যবহার করছেন। তার ফোনে চার্জিং পোটে সমস্যা হওয়ায় তিনি কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে তার ফোনটি জমা দিয়েছেন। শাওমি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার তাকে সাত দিন পরে যোগাযোগ করতে বলেছে। হিমেল বলেন, আমি তাদের বলেছি, এ কাজ করতে সাত দিন কেন লাগবে? তারা কোনো উত্তর না দিয়ে বাইরে থেকে চেঞ্জ করে নিতে বলেছে। বাইরে থেকে ঠিক করালে ওয়ারেন্টি সুবিধা পাবে না বলে বাধ্য হয়েই তার ফোনটি রেখে এসেছেন। তবে এই সাত দিনের জন্য কি হিমেল এখন আর একটা ফোন কিনবেন? এ প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারে নি শাওমির কাস্টমার কেয়ার কর্তৃপক্ষ।
বসুন্ধরা সিটিতে আতিক নামে এক গ্রাহকের সাথে কথা হয়। তিনি শাওমি ফোন কিনে খুব হতাশ। যা সচরাচর শাওমির গ্রাহকদের মধ্যে দেখা যায় না। হতাশ হবেন না-ই বা কেন? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বসুন্ধরা সিটি থেকেই শাওমি এ ওয়ান ফোনটি কিনেছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে ফোনের স্পিকারের সমস্যা হওয়ায় দারস্থ হয়েছিলেন কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে। তবে কাস্টমার কেয়ার কর্তৃপক্ষ তার জন্য ওয়ারেন্টি থাকা সত্ত্বেও কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে। অবশেষে সেই ওয়ারেন্টি থাকা ফোনটি আতিককে ঠিক করতে হলো সাধারণ দোকান থেকেই।
প্রতিষ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে চাকরি করেন এমন এক ভুক্তভোগী ব্যবহারকারী জানান, তিনিও রেডমি ফোর এক্স ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন। এক বছরে ফোন স্লো হয়ে যাওয়ার কারণে দুইবার শাওমির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে আসতে হয়েছে তাকে। আসলে ঠিক করে দিলেও সে হতাশ। কারণ অফিস রেখে এভাবে আসা একটা বিরক্তির ব্যাপার।
এ ব্যাপারে শাওমি বাংলাদেশ কতৃপক্ষ অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি তারা এসব সমস্যার ব্যাপারে কোন প্রকার মন্তব্য করতেও রাজি হয়নি।