দারাজে হেডফোন অর্ডার করে মিললো ওটিজি প্লাগ

(প্রযুক্তি প্রতিদিন) দারাজে হেডফোন অর্ডার করে ১৫ টাকার ওটিজি প্লাগ পেয়েছেন এক ক্রেতা। হেডফোন বক্সের মধ্যেই ওটিজি প্লাগটি ঢুকিয়ে প্যাকিং করে ডেলিভারি দেয়া হয় পণ্যটি। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে নির্ধারিত পয়েন্টে গিয়ে পণ্যটি ফেরত দেয়ার কথা জানিয়েছে দারাজ।

চ্যাম্পসটোয়েন্টিওয়ান ডটকমের সাংবাদিক বদরুদ্দোজা মাহমুদ তুহিন এই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, গত ৩১ জুলাই তিনি দারাজে ফ্ল্যাশ ডিলের আওতায় একটি হেডফোন অর্ডার করেন। এরপর রবিবার পণ্যটি ডেলিভারি দেয় কুরিয়ার কোম্পানি ড্রিমকো এক্সপ্রেস বাংলাদেশ (বিডি-ডেস্ক)। পণ্য ডেলিভারির সময় ক্রেতা পণ্যটি দেখে নিতে চাইলে অস্বীকৃতি জানায় ডেলিভারি ম্যান। অতএব নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করে পণ্যটি গ্রহণ করেন তুহিন।

পরে প্যাকেট খুলে তিনি দেখতে পান, দারাজের বক্সের মধ্যে হেডফোনের বক্স থাকলেও তাতে হেডফোন নেই। বরং হেডফোনের বক্সের মধ্যে মাত্র ১৫ টাকা দামের ওটিজি প্লাগ রয়েছে। এসময় তিনি দারাজের গ্রাহকসেবায় যোগাযোগ করেন। দারাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পণ্যটি ফেরত দিতে চাইলে ২৪ ঘন্টা পর নির্ধারিত ড্রপ পয়েন্টে গিয়ে সেটি জমা দিতে হবে।

তুহিন বলেন, “মার্কেটে গিয়ে হেডফোন কেনার ভোগান্তি ও সময় বাঁচাতে অনলাইনে অর্ডার করেছি। এখন যদি আমাকে বাইরে গিয়েই পণ্য ফেরত দিতে হয় তাহলে অনলাইনে কিনে কী লাভ? দারাজের উচিত ক্রেতা যে পণ্য অর্ডার করেছে সেটি সেলার ঠিকভাবে দিচ্ছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া। সেলারের ইচ্ছাকৃত ভুলের মাশুল আমাকে কেনো দিতে হবে?”

এ বিষয়ে তিনি জানান, দারাজ যদি পণ্যটি এসে গ্রহণ না করে বা পরির্বতন করে দিয়ে না যায় তাহলে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

একটি পণ্য অর্ডার করে অন্য একটি কমদামি পণ্য পাওয়া কিংবা স্মার্টফোনের বদলে সাবান, আলু বা ইটের মতো নানা জিনিষ ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দারাজের বিরুদ্ধে। তারপরেও গ্রাহকস্বার্থ রক্ষায় তাদের উদ্যোগী হওয়ার বিষয়ে কোনো জোর পদক্ষেপ দেখা যায় না। শেষমেষ গ্রাহককেই ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

দেশের ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ই-কমার্স খাতের জন্য জোরালো পলিসি ও কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতার অভাবে এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা। এতে এই খাতের উপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠন, সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর সচেষ্ঠ হওয়া উচিত।