তিন শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করেছে পাঠাও

(নূরতাজ আলম) কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া একদিনেই ‘তিন শতাধিক’ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে দেশীয় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও। আজ ২৫ জুন সকালে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়। বিষয়টি পাঠাওয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করলেও পাঠাও কর্তৃপক্ষ কোন সদুত্তর দিতে পরে নাই।

ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা পাঠাওয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। এদের মধ্যে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার ও কয়েকজন ডিপার্টমেন্টাল হেডও রয়েছেন বলেও জানা গেছে। যাদেরকে ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদেরকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করা হয়েছে। জোরপূর্বক অব্যাহতি নিতে বাধ্য করার কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাব, নেতৃত্বের অভাব ও অভিজ্ঞতার অভাবকে সামনে আনা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরিচ্যুত একজন কর্মী বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই পাঠাও আমাদের চাকরিচ্যুত করেছে। অথচ গত চলতি মাসের ১৭ তারিখে নতুনভাবে নিয়োগের জন্য ৭০ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে পাঠাও। এরই মাঝে আকস্মিক এই চাকরিচ্যুতির ঘটনা আমরা অবাক হয়েছে। ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা পাঠাওয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার ও কয়েকজন ডিপার্টমেন্টাল হেডও রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে পাঠাওয়ের সিইও হোসাইন ইলিয়াছকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পাঠাও বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বড় বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছিল। কিন্তু সে বিনিয়োগ আটকে যায়। যার কারণে পাঠাও কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মী ছাটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি রাইড শেয়ারিং সেবাকে প্রাধান্য দিয়ে অন্য ‍কয়েকটি সেবা বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনাও কোম্পানিটি।