কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো ইনফোকম-২০১৯ সম্মেলন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ইনফোকম কলকাতা-২০১৯ গত ৫-৭ ডিসেম্বর
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের মূল আয়োজনের থিম ছিলো ‘উইনিং ইন দিস ভিইউসিএ (ভোলেটাইল, আনসার্টেন, কমপ্লেক্স, অ্যামবিগুয়াস) ওয়ার্ল্ড’।

আনন্দবাজার পত্রিকা (এবিপি) গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইনফোকম এর আয়োজনে এবারের সম্মলন অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতার স্থানীয় একটি হোটেলে। গত ৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী প্রধান অতিথি হিসাবে আনুষ্ঠনিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এবিপি প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইনফোকম এর চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাস পুরকায়স্থ এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

অস্থির, অনিশ্চিত, জটিল ও অস্পষ্ট বিশ্বের জয় ছিনিয়ে আনার কৌশল হলো ভিইউসিএ (ভোলেটাইল, আনসার্টেন, কমপ্লেক্স, অ্যামবিগুয়াস) ওয়ার্ল্ড। বিশ্বের সার্বিক অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে কী ভাবে প্রযুক্তি, বাণিজ্যিক কৌশল ও যোগ্য নেতৃত্বের মিশেলে জয় নিশ্চিত করা যায় তাই ছিল এবারের সম্মলনের উদ্দেশ্য। গত ২০০২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইনফোকম। ওয়ার্ল্ড ডিজনির প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডানকান ওয়ার্ডলের দাবি, গোটা বিশ্বেই অনিশ্চয়তার এমন এক আবহ, যা আগেও কখনও দেখা যায়নি। ইনফোকম ২০১৯ সম্মেলনে এসে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ডানকান।

ভোলাটাইল, আনসার্টেন, কমপ্লেক্স, অ্যামবিগুয়াস ওয়ার্ল্ড অর্থা‍ৎ ভুকা। অর্থাৎ চরম এক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাওয়া। এরিকসন গ্লোবালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিতাভ রায়েরও দাবি, এই অনিশ্চয়তাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

সার্ক চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (সার্ক-সিসিআই) এর কাউন্সিল ফর কমিউনিকেশন এন্ড আইটি এর চেয়ারম্যান সাফকাত হায়দারের নেতৃত্বে সম্মেলনে সার্কের ৮টি দেশের প্রায় ১৫ জন কাউন্সিল সদস্য অংশগ্রহন করেন। এবারের বাংলাদেশী অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মোঃ শাহিদ-উল-মুনীর, বিসিএস এর সাবেক সভাপতি ও বিজনেসল্যান্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়েজুল্লাহ খান, ইথিকস এডভ্যান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান তানিম প্রমুখ। সাফকাত হায়দার নিউ জেনারেশন এন্টারপ্রেনারশিপ ইন ইন্ডিয়া সেশনে বলেন, উদ্দোক্তা হওয়ার মূলত কোন বয়স নাই। আপনার মাথায় যখনই কোন ভালো আইডিয়া আসলেই আপনি সেই আইডিয়া নিয়ে বিচার বিবেচনা করে কাজ শুরু করতে পারেন।

সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্ল্যান, ন্যাশনাল ই-গর্ভন্যান্স ডিভিশন, সার্ক চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (সার্ক-সিসিআই), দ্য ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড সার্ভিসেস কোম্পানীজ (ন্যাসকম) প্রমুখ। সম্মেলনের পার্টনার হিসাবে ছিল পি মবঙ্গ সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড ইলেকট্রনিক্স। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১২০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেছে, যাদের মধ্যে ১২০ জন সেশন স্পীকার ও ২৫০ জন সিইও ছিলেন।